শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
উচ্চ তাপমাত্রা, সংঘাত ও সংকট ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত পঙ্গু হাসপাতালে ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ বলেছিল হাসিনা ৫ আগস্টের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি সরকারি ৭ কলেজকে পাঠদানে নতুন কাঠামো ঘোষণা এক বছরে রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতায় বিএনপি ৯২%, ঘটনায় জড়িত আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প গাজায় জিম্মিদের বিষয়ে বৈঠকে বসবে নিরাপত্তা পরিষদ: ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা, হাসিনার পতনের ইঙ্গিত

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে একমত জাতিসংঘের ১৪২ দেশ

রিপোর্টারের নাম / ২৫ জন দেখেছেন
আপডেট : August 1, 2025
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে একমত জাতিসংঘের ১৪২ দেশ

বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠায় গাজার জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। এর মধ্যেও আগ্রাসন থামায়নি ইসরাইলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গাজা সংকটের কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্পও, তবে দোষারোপ করেছেন হামাসকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহার ও অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দেড়শো ছাড়িয়েছে, এর মধ্যে ৮৯ জনই শিশু। এদিকে, জাতিসংঘের ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।

পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে ত্রাণ কেন্দ্রে গিয়ে কিছু খাবারও পেয়িছিল গাজার বালক আমির। ত্রাণ পেয়ে বেশ খুশিও হয় সে। তবে কিছুক্ষণ পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ যায় শিশু আমিরের। এমনই ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরেছেন জিএইচএফ সাহায্য কেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতে যাওয়া মার্কিন সেনা অ্যান্থনি আগুইলার।

অনাহারে ধুঁকতে থাকা গাজাবাসীর ওপর এভাবেই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলা ও অপুষ্টিতে গাজায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ শিশু নিহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তবে এর জন্য ইসরাইলকে নয়, দোষারোপ করেছে গাজা ভূ-খণ্ডে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে। ট্রাম্প জানালেন, খাদ্য সহায়তার জন্য ৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে যা ঘটছে তা সত্যি ভয়াবহ, কারণ মানুষ খুবই ক্ষুধার্ত। তাই খাবারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এটা লজ্জাজনক, কারণ আপনারা জানেন এর কোনো ফলাফল দেখতে পাচ্ছি না। আমরা চেয়েছিলাম যে ইসরাইল এটির উপর নজর রাখুক। সমস্যার একটি অংশ হলো— হামাসও খাবার সহায়তা নিচ্ছে।’

এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল পরিচালিত জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। উইটকফ দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা রক্ষা এবং মানবিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন স্টিভ উইটকফ।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘বিশেষ দূত উইটকফ এবং রাষ্ট্রদূত হাকাবি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে গাজায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং সাহায্য সরবরাহের বিষয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। তারা বিতরণ স্থানগুলো পরিদর্শন এবং আরও খাদ্য সরবরাহের পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে স্থানীয় গাজাবাসীদের সঙ্গে দেখা করবেন।’

এদিকে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে একমত। এতে ফ্রান্স ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কানাডাও, যেখানে ইউরোপের সঙ্গে কানাডার ক্রমবর্ধমান জোটের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতায় ভবিষ্যতে ভূ-রাজনীতি ও বাণিজ্য সুবিধার দরজা প্রশস্ত করতেই ইউরোপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ পথে হাঁটছে কানাডা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কানাডা ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেক্স ব্রাইনেন বলেন, ‘আমি মনে করি কানাডিয়ানরা এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায়। তাই এটিকে রাজনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয় হিসাবে দেখছি। ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা যেখানে আলোচনা করছে সেখানে রাজনৈতিক বিষয়গুলো একটি উদাহরণ।’

২৭ মে থেকে গাজায় থাকা জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্য আনতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য খবর...